ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল খরচেও কমানো যাচ্ছে না নানামুখী আতঙ্ক রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সেই শিশু আছিয়া না ফেরার দেশে ধর্ষণে আতঙ্ক -উদ্বেগ ভারতকে অযাচিত বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বলল ঢাকা প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাচ্ছেন ২৬ মার্চ সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন

চুরি হচ্ছে রেললাইন সিগন্যালের মোটর

  • আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ১০:৪৬:৩০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০১-২০২৫ ১২:১০:২২ পূর্বাহ্ন
চুরি হচ্ছে রেললাইন সিগন্যালের মোটর
চুরি হয়ে যাচ্ছে রেললাইন সিগন্যালের মোটর। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ট্রেনের গতি। সিগন্যালের মোটর চুরি হওয়ায় রেলের কম্পিউটার বেইজড সিগন্যাল পদ্ধতি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালনা করতে হচ্ছে ট্রেন। জায়গায় জায়গায় ট্রেন থামিয়ে সিগন্যাল নিতে হচ্ছে। তাতে ট্রেন নির্ধারিত সময়ের বাইরে বিলম্বে পৌঁছাচ্ছে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। গত এক মাসে রেলের পূর্বাঞ্চলে ২০টি মোটর চুরি হয়েছে। দিন দিন মোটর চুরির ঘটনা বাড়ছে। আর রেললাইনের সিগন্যাল মোটর চুরিতে রেলওয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রেললাইন সিগন্যালের মোটরগুলো সিগন্যাল বক্সের সঙ্গে লাগানো থাকে। যাতে স্টেশন মাস্টার কম্পিটারের মাধ্যমে ট্রেন পরিচালনার জন্য ক্লিয়ারেন্স সংকেত দিয়ে থাকে। কিন্তু মোটর চুরি হয়ে যাওয়ায় কম্পিউটার বেইজড সংকেত সিস্টেম (ইন্টারলকিং) কাজ করছে না। বাধ্য হয়েই তখণ স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পয়েন্টসম্যান এসে পয়েন্ট (এক লাইন থেকে অপর লাইনে স্থানান্তরের পয়েন্ট) ঠিক করে দেয়। পয়েন্টসম্যান তখন কাগজের মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স ট্রেনের লোকো মাস্টারকে (ট্রেন চালক) দেন। ওই ক্লিয়ারেন্স পেলেই লোকো মাস্টার ট্রেন নিয়ে এগিয়ে যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের অনেক এলাকায় রেললাইনের সিগন্যাল পয়েন্টের মোটর চুরি হয়ে যাওয়ায় ট্রেন পরিচালনা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। কারণ সিগন্যাল মোটর চুরি হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-ঢাকা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম উভয়মুখী রুটের ট্রেনগুলোকে স্টেশনের আউটারে থামতে হচ্ছে। ফলে ট্রেনগুলোকে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছতে বিলম্ব হচ্ছে। সূত্র জানায়, ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম অকার্যকর থাকলে চলমান একটি ট্রেনকে সনাতন পদ্ধতিতে সিগন্যাল ক্লিয়ারেন্স নিতে থামতে হয়। ওই থামা আবার গতি বাড়াতে অতিরিক্ত ৬ থেকে ৭ মিনিট সময় নষ্ট হয়। এখন দুটি পয়েন্টে থামাতে হলে অতিরিক্ত প্রায় ১৪ মিনিট সময় লাগবে। চোরের দল চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী স্টেশনের ২৬/১, ২৬/বি, ২৪/এ, ২৪/বি, ২২/এ, ২২/বি পয়েন্টের ব্যাটারি খুলে নিয়ে গেছে। ফলে এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে সিগন্যাল দেয়া যায় না। বরং রেললাইনের জয়েন্টে তালা মেরে পয়েন্ট সেট করে ট্রেন পরিচালনার ক্লিয়ারেন্স দেয়া হচ্ছে। তাতে মধ্যরাতেও ক্লিয়ারেন্স দিতে হলে রেল কর্মদের আসতে হচ্ছে। কিন্তু সিগন্যাল ঠিক থাকলে রেল কর্মীদের স্পটে আসার প্রয়োজন হতো না। চুরি হওয়া ওসব মোটরের ভেতরে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকার তামার তার পাওয়া যেতে পারে। আর ওসব মোটর অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিগত ১৯৮০ সালে প্রথম ইন্টারলকিং সিস্টেম চালু হয়। তখন থেকে রেললাইন, সিগন্যাল ও কম্পিউটার একসঙ্গে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে আসছে। ইন্টারলকিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর স্টেশনের আউটারে গিয়ে আর পয়েন্টসম্যানদের সিগন্যাল ক্লিয়ারেন্স দেয়া লাগে না। এখন ভাটিয়ারী বা যেকোনো জায়গায় ইন্টারলকিং সিস্টেম অকার্যকর থাকলে সনাতন পদ্ধতিতে সিগন্যাল ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪০টি ট্রেন চলাচল করছে। বর্তমানে সবগুলো ট্রেনকে ওই পদ্ধতিতে ফৌজদারহাট ও ভাটিয়ারীতে থামতে হচ্ছে। শুধু পাহাড়তলী, ভাটিয়ারী বা ফৌজদারহাট অংশেই নয়, কুমিল্লার আলীশহর, ময়নামতি, শশীদল, রাজাপুর স্টেশন এলাকায়ও মোটর চুরির ঘটনা ঘটছে। এদিকে এ প্রসঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, সিগন্যালের মোটর চুরি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। দিনের পর দিন মোটর চুরি বাড়ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি মোটর চুরি হয়েছে। ওই মোটর অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বড়জোর মোটরগুলো ভেঙে তামার তারগুলো বিক্রি করতে পারবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য